কানাডাকে পছন্দ বা ভালোলাগার হাজারো কারণ আছে যা বলে শেষ করা যাবে না। আছে অনেক নেগেটিভ সাইটও। ভালো-মন্দ মিলিয়েই দেশ হয়। কিন্তু একটা দেশে যখন মন্দের ভাগটা বেশি থাকে তখন বসবাস করা সহজ বা সহনীয় থাকে না। আর ভালোর সাইটটা যদি ভালোই থাকে তাহলে নেগেটিভ বিষয়গুলো মানিয়ে নেওয়া যায়।
কানাডার যে বিষয়টা আমার কাছে একটা সভ্য ও শান্তিপূর্ণ মনে হয় সেটা হলো এখানে কোনো স্টুডেন্ট রাজনীতি নেই। স্টুডেন্টরা যারা কলেজে বা ইউনিভার্সিটিতে পড়ছে তারা কিন্তু অন ক্যাম্পাস বা অফ ক্যাম্পাস কোথাও কোনো রাজনৈতিক দলের হয়ে কর্মসূচী পালন করছে না। করছে না রাস্তায় কিংবা ময়দানে মিটিং-মিছিল। কখনো দেখা যাবে না কলেজ বা ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্টরা রাস্তায় এসে সরকার বা বিরোধী দলের নেতার কুশপুত্তলিকা দাহ করছে। এদেশে রাস্তায় বা অন্য কোথাও খোলা জায়গায় রাজনৈতিক প্রতিবাদী মিছিল বা ভাঙচুর করা নিষেধ।
স্টুডেন্টদের প্রচুর struggling করতে হয়। যেমন থাকে পড়াশোনার চাপ অন্য দিকে পার্টটাইম জব করে জীবনধারণের খরচ জোগানো। শুধু ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টরাই যে পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরি করে তা নয়। এদেশে home student রাও কাজ বা জব করে। কঠিন পরিশ্রম করে। এমনকি স্কুলের স্টুডেন্টরা পর্যন্ত সামার জব হিসেবে কিনা করছে তা দেখলে আপনার ধারণা পাল্টে যাওয়ার কথা। তারা লেখাপড়া করে, ভালো রেজাল্ট করে। রেজাল্টের ওপর নির্ভর করে তাদের পড়াশোনার প্রতিষ্ঠান কোনটা হবে সেটা ঠিক করা হয়। আর তারা যে লেভেলেরই স্টুডেন্ট হোক না কেনো পড়াশোনার পাশাপাশি বা সামারে কাজ করবেই।
আপনারা দেখতে পাচ্ছেন ছবিতে কয়েকজন দাঁড়িয়ে আছে জাস্ট ঝাড়ু হাতে নিয়ে। তারা পুরো সিনেপ্লেক্সটা ঝাড়ু দিয়ে পরিস্কার করে বেড়াচ্ছে। ইউনিভার্সিটির বা কলেজ স্টুডেন্ট সবাই। আর তারা কতোটা গুড লুকিং দেখলে অভিভূত হতে হয়। বেশিরভাগ সাদা ছেলেমেয়ে। মাথায় সোনালী রংয়ের চুল ও নীলাভ আঁখি।
এরা চিন্তা করছে না কোনো রাজনীতি নিয়ে। চিন্তা করছে না কাজের মান নিয়ে। অথচ তারা মিলিয়নিয়রের সন্তান। বাবা মা সবাই চালায় পৃথক মার্সিডিজ বা বিএমডব্লিউ।
আপনাদের সবার মঙ্গল হোক।