বুধবার বিকেলে শেখ আহমদ নওবাব আল আহমদ ফোন করে বাংলাদেশের জনগণ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানান।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম গণমাধ্যমকে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, নেতৃদ্বয় তাদের কথোপকথনে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং সময়ের সাথে তা গভীর ও নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
প্রেস সচিব জানান, এ সময় টেলিফোন করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুয়েতের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং কুয়েতের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণকে ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানান। তিনি আনন্দের সঙ্গে উল্লেখ করেন যে, কুয়েতে কর্মরত বাংলাদেশিরা এবং কুয়েত সেনাবাহিনীতে ‘বাংলাদেশ কন্টিনজেন্ট’ দীর্ঘস্থায়ী অংশীদারিত্বের উত্তরাধিকার এবং শক্তি বহন করে।
কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী শেখ আহমদ নওবাব আল আহমদ আনন্দের সাথে তার দেশের প্রতিরক্ষা পুনর্গঠনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিবেদিত ও পরিশ্রমী ভূমিকার অনুমোদন দেওয়ার কথা জানান এবং দুই দেশের উন্নয়নে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভূমিকারও প্রশংসা করেন তিনি।
উভয় নেতাই জুলাইয়ে ব্যাংককে অনুষ্ঠিত অলিম্পিক কাউন্সিল অব এশিয়ার (ওসিএ) সাধারণ পরিষদের বৈঠকর পারস্পরিক প্রত্যাশা নিয়ে একসাথে কাজ করতে সম্মত হন বলেও জানানো হয়।
প্রেস সচিব বিজ্ঞপ্তিতে জানান, কথোপকথনে দুই নেতা একে অপরকে নিজ নিজ দেশে সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানান। একই সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য নিয়মিত পরামর্শ/উচ্চ পর্যায়ের সফরের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। নেতৃদ্বয় পারস্পরিক সুস্থ জীবন, দুই দেশের জনগণের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি ও সফলতা কামনা করে টেলিফোন কলের সমাপ্তি করেন।