টরন্টো থেকে লিখেছেনঃ কাজী হালিমা আফরীন
জীবনে কখনো ধৈর্যহারা হতে হয় না। যা কিছুই ঘটুক সবকিছু মোকাবেলা করে ফের ওঠে দাঁড়াতে হবে। অনেক কিছুই ঘটতে পারে জীবন চলার পথে। কিন্তু সবকিছুর একটা সমাধান থাকা চাই। ধরে নিন আপনার চলার পথ সমান্তরাল হচ্ছে না, নানা রকম সমস্যায় আপনি শান্তি হারিয়ে ফেলেছেন। আপনি কি তাহলে অশান্তি নিয়েই বসে থাকবেন সারা জীবন?
জীবনটা তো আপনার অনন্তকালের জন্য না। বরং কখন শেষ হবে সেটাও আপনার অনুভবের বাইরে। হতে পারে ছোট্ট পরিসর বা দীর্ঘ মেয়াদী। স্বল্প বা দীর্ঘদিনের যাই হোক জীবনের বেঁচে থাকার সময় সেটা হতে হবে অর্থবহ । কোনো একটা সমস্যার কাছে জীবনের সবকিছু হার মেনে নেওয়ার মানে জীবন যুদ্ধ নয়।
আপনি যদি হাল ছেড়ে দেন, ধরে নেন আপনি জীবন যুদ্ধে একজন পরাজিত সৈনিক।
জীবনসঙ্গী ছেড়ে চলে গেছে তবুও তার পথপানে চেয়ে আছেন একাকী নিভৃতে নির্বাসনে নিজের মনে কাছেই। কেনো নিজেকে এভাবে শাস্তি দেওয়া? খুঁজে নেন মনের মতো সঙ্গী। জীবনের বাকি সময়টুকু কাটুক না কিছুটা আনন্দে।
ভালো কোনো চাকরি হয় না তাই হাত-পা গুটিয়ে বসে আছেন মনের দরজায় কপাট লাগিয়ে। কেনো যে কোনো একটা কাজ কি বেছে নেওয়া যায় না? ঐ যে সমাজে মানুষ, তারা মন্দ বলবে ভেবে আর কোনো কাজই করা হলো না। অথচ দিন-রাত বেকার বসে ভাবনাগুলোর সজীবতা ফ্যাকাশে হয়ে গেছে।
যে কোনো সমস্যায় আগেই হতাশাকে আলিঙ্গন না করে শক্তি ও মনোবল সঞ্চয়ের চেষ্টা যেন প্রাধান্য পায় এটাই কাম্য।