বগুড়ার শিবগঞ্জে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে পুরুষাঙ্গ কেটে এরশাদুল ইসলাম নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত গৃহবধূকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার কিচক ইউনিয়নের মাদারগাছি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮ টার দিকে মারা যান এরশাদুল। তিনি কিচক ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। আটককৃত নারী একই এলাকার রুবেল মিয়ার স্ত্রী মিনতি বেগম।
ছিলিমপুর মেডিক্যাল ফাঁড়ির এসআই আনিসুর রহমান জানান, এরশাদুলকে পুরুষাঙ্গ কাটা অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে আজ সকালে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে তিনি মারা যান।
শিবগঞ্জ থানার ওসি মনজুরুল আলম জানান, ২০২২ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে এরশাদুলের বিরুদ্ধে প্রতিবেশী মিনতিকে ধর্ষণচেষ্টার মামলা ছিল। মামলার চার্জশিটও দাখিল করেছিল পুলিশ। তিন মাস আগে এরশাদ জামিনে বের হন। এলাকায় এসে আবারো মিনতি বেগমকে উত্ত্যক্ত করতে থাকে। এরই এক পর্যায়ে সোমবার রাতে ওই নারীর কাছে গেলে ব্লেড দিয়ে এরশাদুলের পুরুষাঙ্গ কেটে দেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, পরে তাকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু আজ সকালে তিনি মারা যান। মৃত্যুর খবর পেয়ে ওই নারীকে আটক করেছে পুলিশ। নিহতের পরিবার এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
