আপনার কি বিদেশে ভালো কোনো কাজের ভিসা এবং পরিবেশ প্রয়োজন? যদি প্রয়োজন পড়ে থাকে সেক্ষেত্রে বেছে নিতে পারেন আজকের আলোচিত দেশগুলি। চলুন তবে গল্পের পর্ব শেষ করে জানি কাজের ভিসার জন্য আবেদন করা ১০ টি দেশ সম্পর্কে।
কাজের ভিসার জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রে বেছে নিতে পারেন সংযুক্ত আরব আমিরাত। সংযুক্ত আরব আমিরাত আপনাকে একইসাথে কর-মুক্ত আয়ের সুযোগ এবং বিলাসবহুল জীবনযাত্রার নিশ্চয়তা দেবে।
তাছাড়া এখানে অনেক বেশি কাজের চাহিদা থাকার কারণে ভিসা পাওয়ার পর কাজ পেতে খুব একটা কষ্ট করতে হবে না।
বিদেশী কর্মীদের জন্য বিশাল কর্মসংস্থানের হাট নিয়ে বসে আছে সিঙ্গাপুর। আপনি চাইলে সিঙ্গাপুরে কাজের ভিসা নিয়ে জীবন পরিবর্তনের এই যুদ্ধে নামতে পারেন।
বলে রাখা ভালো দেশটিতে বিভিন্ন ব্যবসা এবং শপ রিলেটেড কাজের সুযোগ অনেক বেশি রয়েছে।
আপনি কি এমন কোনো দেশ চাচ্ছেন যে দেশে কাজের পরিবেশ বেশ সহযোগিতামূলক এবং বন্ধুত্বপূর্ণ? এক্ষেত্রে বেছে নিতে পারেন দক্ষিণ কোরিয়াকে।
দেশটিতে একদিকে যেমন পাবেন বাড়তি অর্থ আয় করার সুযোগ, তেমনই পাবেন থাকার সুব্যবস্থা। পাশাপাশি দেশটির উন্নত জীবনযাত্রার বিষয়টিও আপনাকে মুগ্ধ করবে৷
সমৃদ্ধ সংস্কৃতি এবং ভালো কাজের পরিবেশ, জার্মানির এই দু’টো গুণই আপনাকে মুগ্ধ করবে। বিশেষ করে কাজের ভিসার জন্য এই দেশটিকে বরাবরই পার্ফেক্ট বলা চলে।
তাছাড়া ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য ক্যারিয়ার গড়ার ক্ষেত্রে জার্মানির কাজের পরিবেশ অত্যন্ত ভালো। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এখানে খুব বেশি কাজ করতে হয় না। সপ্তাহে মাত্র ২৭/২৮ ঘন্টা কাজ করেই প্রচুর অর্থ উপার্জনের সুযোগ রয়েছে দেশটিতে।
কাজের ভিসার জন্য যারা শিশুর যত্ন এবং জনস্বাস্থ্য সার্ভিসসহ স্ট্রং সামাজিক কল্যাণ সংস্থান খুঁজছেন তারা বেছে নিতে পারেন ডেনমার্ককে। বিশেষ করে ইংরেজি ভাষাভাষীদের জন্য এখানে কাজ পাওয়াটা অনেক ইজি মনে হবে। দেশটির জীবনযাত্রার মান এবং অর্থনৈতিক দিক দু’টোই বেশ স্ট্রং।
কাজের ভিসার জন্য উপযুক্ত দেশ হিসাবে চীনের কথা না বললেই নয়। বিশেষ করে TEFL (Teaching English as a Foreign Language) সার্টিফিকেশন যাদের আছে তাদের জন্য এই দেশে কাজ পাওয়াটা বড় কোনো বিষয়ই না।
কারণ দেশটিতে ইংরেজি জানে এবং ইংরেজি শেখাতে পারবে এমন ব্যাক্তির চাহিদা বরাবরই দেখার মতো।
পার্মানেন্ট জব ছাড়া পার্ট টাইম জবের জন্য দেশ হিসাবে বেছে নিতে পারেন কানাডাকে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো কানাডায় কাজের ভিসা পাওয়াটা তুলনামূলকভাবে কিছুটা সহজ।
যাদের ভালো ডিগ্রি আছে, ভালো ইংরেজি জানেন এবং চরম লেভেলের স্কিল আছে তারা কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন অস্ট্রেলিয়াতে। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু করার ক্ষেত্রে এই দেশটি কিন্তু আসলেই চমৎকার।
তবে কাজ না জেনে দেশটিতে গেলে দিনশেষে হতাশা ছাড়া অন্যকিছুই আশা করা যাবে না। রেসিডেন্ট রিটার্ন ভিসা, পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট ভিসা, কনফার্মেটরি রেসিডেন্ট রিটার্ন ভিসা এবং স্পেশাল ক্যাটাগরি ভিসাসহ বিভিন্ন ভিসার আন্ডারে আপনি চাইলে অস্ট্রেলিয়ান জব পেতে পারেন।
চাপমুক্ত ভিসা ব্যবস্থা কিংবা ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে সহজ সিস্টেম…. সবকিছু মিলিয়ে নিউজিল্যান্ড সেরা। তাছাড়া এখানে যে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আছে তার আন্ডারে থাকা ওয়ার্ক হলি ডে ভিসা ব্যবহার করে আপনি ১২ মাস পর্যন্ত ছুটি কাটাতে পারবেন দেশটিতে।
বিশেষ করে যেসব উদ্যোক্তা ইন্টারন্যাশনালি নিজের বিজনেসকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাচ্ছেন তারা নিউজিল্যান্ডে ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারেন।
যুক্তরাজ্য বা ইউকে হলো আরো একটি কাজের ভিসার জন্য জনপ্রিয় দেশ। গ্লোবাল ট্যালেন্ট ভিসা বা দক্ষ কর্মী ভিসার জন্য আবেদন করলেই দেশটিতে চাকরির সুযোগ পেয়ে যাবেন। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে নিয়োগকর্তার কাছ থেকে একটি অফার লেটার পেতে হবে।