বিদেশ থেকে দেশে টাকা পাঠাতে চান: জেনে নিন বিদেশ থেকে দেশে টাকা পাঠানোর নিয়ম

প্রবাস প্রতিদিন
আপডেটঃ : রবিবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৩

 

ঝামেলা ছাড়াই আপনি বেশকিছু উপায় বা টিপস ফলো করে দ্রুত সময়ের মধ্যে দেশে টাকা পাঠাতে পারবেন। এক্ষেত্রে জানতে হবে বিদেশ থেকে দেশে টাকা পাঠানোর নিয়ম। যা জানতে আমাদের সাথেই থাকুন। 

 

বিদেশ থেকে দেশে টাকা পাঠানোর নিয়ম

বর্তমানে বিশ্বের যেকোনো স্থানে বসে সরাসরি ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে টাকা পাঠানো ছাড়াও ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সহজেই টাকা পাঠানো যায়। চলুন বিস্তারিত জানি। 

 

বিকাশের মাধ্যমে দেশে টাকা পাঠান 

ইন্টারনেট ব্যাংকি খাতে বলুন বা মোবাইল ব্যাংকিং খাতে বলুন যেকোনো খাতেই বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি মাধ্যম হিসাবে কাজ বিকাশ। 

 

বিকাশের মাধ্যমে আপনি একই সাথে সর্বনিন্ম ৫০/- টাকা থেকে শুরু করে ১,২৫,০০০/- পাঠাতে পারবেন। তবে এক দিনে ১,২৫,০০০ টাকার বেশি পাঠানোর কোনো সুযোগ নেই এই মোবাইল ব্যাংকিং সেক্টরটিতে। 

 

সেই সাথে এক মাসে আপনি মোট ৪,৫০,০০০ টাকার বেশিও পাঠাতে পারবেন। আর চার্জের ব্যাপারে যদি জানতে চান সেক্ষেত্রে বলবো BKash App থেকে ক্যাশ আউট করার ক্ষেত্রে প্রতি হাজারে ১৭.৫০ টাকা ছাড়া অন্য কোনো এক্সট্রা চার্জ আপনাকে দিতে হবে না। 

 

বিকাশের মাধ্যমে বিদেশ থেকে টাকা পাঠাতে হলে আপনাকে অবশ্যই বিকাশের অথোরাইজড পার্টনারড, ব্যাংকের শাখা বা মানি এক্সচেঞ্জ অথবা এমটিও এজেন্টের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। পরবর্তীতে: 

  • এজেন্টের কাছে গিয়ে পাঠাতে আগ্রহী ব্যাক্তির নাম এবং একাউন্ট নাম্বার দিন
  • কত টাকা পাঠাতে চান তা জানিয়ে দিন
  • এজেন্টকে যত টাকা পাঠাতে বলেছেন তত টাকা জমা দিন
  • সবশেষে অপেক্ষা করুন এবং নিশ্চিত হয়ে নিন যে টাকাটা পৌঁছেছে

 

ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে টাকা পাঠান

ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে দেশে টাকা পাঠাতে হলে অবশ্যই উক্ত ব্যাক্তের মানি এক্সচেঞ্জ অফিসের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। 

 

এরপর টাকাটা জমা দিয়ে কেওয়াইসি ফরম পূরণ করলেই কাজ হয়ে যাবে। এই ফরমটি কেবল আপনার সম্পর্কিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যেমন ভিসা নাম্বার, পারমিট ভিসা সম্পর্কি তথ্য ইত্যাদি চাইবে। 

 

পরবর্তীতে ব্যাংক নাম্বার, ব্রাঞ্চ নাম্বার এবং লোকেশন মেনশন করে এজেন্টকে টাকা দিয়ে দিলে তারা আপনার টাকাটিকে নিরাপদে দেশে পাঠিয়ে দেবে। 

 

আর হ্যাঁ! এই সিস্টেমে টাকা পাঠাতে হলে আপনাকে সিকিউরিটি পারপাস একটি পাসওয়ার্ড মেইনটেইন করতে হবে। এই গোপন পিনকোডটি একইসাথে দেশে যার কাছে টাকা পাঠাচ্ছেন তারও জানা থাকতে হবে। 

 

আর সিস্টেমিক যেকোনো সমস্যার ক্ষেত্রে এজেন্ট নিজেই আপনাকে সাহায্য করবে। এক্ষেত্রে টেনশনের কোনো কারণ নেই। 

 

ওয়াইসের মাধ্যমে দেশে টাকা পাঠান

আপনার যদি যুক্তরাষ্ট্রের মানি ট্রান্সফারের প্রয়োজন পড়ে সেক্ষেত্রে এই ওয়াইস ব্যবহার করতে পারেন। যারা নামটি নতুন শুনছেন তাদের সিকিউরিটি নিয়ে টেনশন না করার অনুরোধ রইলো। কারণ বর্তমানে এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় বিশ মিলিয়নেরও বেশি। 

 

যাইহোক! সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার এই ওয়াইস ব্যবহারের ক্ষেত্রে বৈধতা ঘোষণা করেছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আপনি যদি ওয়াইসের মাধ্যমে দেশে টাকা পাঠাতে পারেন সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার বর্তমানে রেমিট্যান্স এর উপর যে ২.৫℅ প্রণোদনা দিচ্ছে সেটিও পাওয়ার সুযোগ পাবেন। 

 

তাছাড়া এর মাধ্যমে দেশে টাকা পাঠানোর প্রসেসটিও বেশ সহজ। কিভাবে? জানতে হলে নিচের পয়েন্টগুলিতে ফোকাস করুন: 

  • ওয়াইসের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন
  • আপনার যাবতীয় সকল গুরুত্বপূর্ণ এবং সঠিক তথ্যের সাহায্যে একাউন্ট খুলে নিন
  • এরপর পাসওয়ার্ড বা পিন কোড দিন
  • সবশেষে অপরপাশের ব্যাক্তির একাউন্ট নাম্বারের সাহায্যে ইজিলি লেনদেন করতে পারবেন

 

বিদেশ থেকে দেশে টাকা পাঠানোর নিয়ম বা মাধ্যম হিসাবে উপরোক্ত কোম্পানিগুলির সার্ভিস নেওয়ার চেষ্টা করুন নয়তো সরাসরি ব্যাংকের সাহায্য নিন। 

 

পাশাপাশি বিদেশ থেকে দেশে পাঠানোর ক্ষেত্রে হুন্ডির উপর নির্ভরশীল না হবার অনুরোধ রইলো। কারণ এই মাধ্যম ব্যবহার করে টাকা পাঠানোটা বেশ রিস্কি এবং সরকার রেমিট্যান্স খাতে এই মাধ্যমের কারণে সঠিকরূপে হিসাব কষতে অক্ষম হচ্ছে। 

 

সুতরাং হুন্ডি ব্যবহার না করে সাধারণ ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিং কিংবা ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের সাহায্য নিন। 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ