ফেনী শহরের পুরাতন পুলিশ কোয়াটার রায়হান টাওয়ারের নীচ তলা এসি মার্কেটের পাশের বিল্ডিং থেকে ৭ পতিতা ও ১৫ খদ্দের সহ আটক করেন ফেনী মডেল থানার পুলিশ।
সোমবার (২১ আগস্ট) দুপুরে আটককৃতরা হলো- এই অবৈধ নারী ব্যবসা পরিচালনাকারী মাদারীপুরের মৃত আলম মাতবরের ছেলে আলী মাতবর (৩৫)। সে বর্তমানে এসি মার্কেট সংলগ্ন লিটন মিয়ার ভাড়াটিয়া।
এ ছাড়া অন্যরা হলেন, সোনাগাজী নবাবপুরের করিম উল্লাহ ছেলে গিয়াস উদ্দিন (২৬) বর্তমানে উকিলপাড়া, খুলনা বাগের হাটের মুজিবর শেখ এর ছেলে সেকান্দর মোহাম্মদ (৪০) বর্তমান আবাস বারাহিপুরের রানার বাসা, সোনাগাজীর আবু আহম্মদের ছেলে মোঃ হানিফ (৩৭), ফেনী সদর উপজেলার ছনুয়ার বাবুল মিয়ার ছেলে অমিত হাসান (২৩) কবির আহম্মদের ছেলে আব্দুল্লাহ আল রিফাত (২২) নোয়াখালীর সেনবাগের শাহ আলমের ছেলে আবুল কালাম (২৫) অজিউল্ল্যাহর ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন (২৯), লক্ষীপুর কমল নগরের রুহুল আমিনের ছেলে মোহাম্মদ সুমন (৪০) বর্তমান আবাস শান্তি কোম্পানী রোড, ছাগলনাইয়া রাধানগরের মোঃ শাহজাহান মিয়ার পুত্র মোঃ শাহাদাত হোসেন (২১), কিশোরগঞ্জ মিঠামাইনের আক্কাস গাজীর ছেলে মোশারফ গাজী (৩০), ফেনী সদর উপজেলার লেমুয়ার মোঃ সেলিমের ছেলে মিনহাজুল ইসলাম (২১) বাবুল উদ্দিনের ছেলে ইয়ছিন হোসেন রিদয় (১৯), দাগনভূঁঞা চন্দ্রপুরের লোকমান মিয়ার ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান (২২), ছাগলনাইয়া মধুগ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে মনসুর আলম (২২) প্রমুখ। এদের মধ্যে সিএনজি চালক, লেবার, চাকুরীজীবী এবং স্কুল ও মাদ্রাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থী ও আছেন।
পতিতাদের মধ্যে যারা আটক হন তারা হলেন, দক্ষিণ সায়দবাদ সুত্রাপুরের মৃত নাসির উদ্দিনের মেয়ে সোনালী (২৮), মিরশরাই উপজেলার মুগরা গ্রামের নুরুল আনোয়ারের মেয়ে জান্নাতুল রায়হান নদী (২১), চট্টগ্রাম রাউজানের মৃত পিয়ালের মেয়ে আছমা আক্তার (১৯), নোয়াখালী সুবর্ণচরের মোঃ আলাউদ্দিনের মেয়ে শিলা বেগম (২০), চট্টগ্রাম কোতোয়ালীর মজিবুলের মেয়ে শারমিন আক্তার (২০) এবং বান্দরবন হলুদিয়ার মৃত খবির আহম্মদের মেয়ে সুরাইয়া আক্তার (২৮) প্রমুখ। এ ব্যাপারে মামলার হয়েছে। ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, আটক কৃতদেরকে ফেনীর আদালতে প্রেরন করা হবে বলে জানান ।
ফেনী শহরের আবাসিক হোটেল সহ বিভিন্ন বাসাবাড়িতে জমজমাট দেহ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন একশ্রেণির দালাল ও প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায়। দিনে দুপুরে শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশার লোকজন এদের কাস্টমার হিসাবে দেখা যায়। জনগন এর প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ জরুরি হয়ে পড়েছে।