প্রায় দেড় বছর আগে আনোয়ার আলীর সঙ্গে বিয়ে হয় সুমাইয়ার। বিয়ের দুমাস পরেই মধ্যপ্রাচ্যে পাড়ি জমান আনোয়ার। এ সুযোগে পাশের বাড়ির ভাতিজা ইমন আহমদ পায়েলের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে সুমাইয়ার। সেই সম্পর্কের জেরে গত ১৩ আগস্ট গভীর রাতে টাকা-স্বর্ণালংকার নিয়ে ভাতিজা ইমনের সঙ্গে পালিয়ে যান সুমাইয়া।
ঘটনাটি ঘটেছে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার রাউৎগাঁও ইউনিয়নের কৌলা গ্রামে। স্ত্রীর এমন প্রতারণায় পাগলপ্রায় ওই প্রবাসী। এ বিষয়ে কুলাউড়া থানায় সাধারণ ডায়েরি হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রামজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
জানা যায়, প্রায় দেড় বছর আগে রাউৎগাঁও ইউনিয়নের কৌলা গ্রামের আনোয়ার আলীর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী উপজেলা জুড়ির জায়ফরনগর ইউনিয়নের শাহপুর গ্রামের সুমাইয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের দুমাস পরেই পরিবারের হাল ধরতে মধ্যপ্রাচ্যে যান স্বামী আনোয়ার আলী। এ সুযোগে পাশের বাড়ির ভাতিজা মৃত রহমত উল্লাহের ছেলে ইমন আহমদ পায়েলের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলেন সুমাইয়া। সেই সম্পর্কের জেরে গত ১৩ আগস্ট গভীর রাতে টাকা-স্বর্ণালংকার নিয়ে ভাতিজা ইমনের সঙ্গে পালিয়ে যান সুমাইয়া।
এদিকে এ ঘটনায় প্রবাসে পাগলপ্রায় হয়ে পড়েছেন আনোয়ার। এ ঘটনায় কুলাউড়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন প্রবাসী আনোয়ারের পক্ষে তার ছোট ভাই আইয়ুব আলী।
মোবাইলে প্রবাসী আনোয়ার বলেন, একদিন আগেও আমি ২০ হাজার টাকা পাঠিয়েছি। এছাড়া ঘরে ছিল নগদ আড়াই লাখ টাকা ও বিয়ের স্বর্ণালংকার। সব নিয়ে আমার ভাতিজার সঙ্গেই পালিয়েছেন আমার স্ত্রী।
কুলাউড়া থানার এএসআই মোহাম্মদ আলী বলেন, আমাদের কাছে নিখোঁজ জিডি আছে। এটা নিয়ে কাজ করছি। এরই মধ্যে তাদের অবস্থান জেনেছি।
তিনি আরো বলেন, পাশের বাড়ির ভাতিজার সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের ইঙ্গিত পাচ্ছি। ওই বিষয়টি নিয়েও চলছে তদন্ত।