ঘুষের বিনিময়ে বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়ার অভিযোগে দুই মালয়েশিয়ান নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির দুর্নীতি দমন কমিশন (এমএসিসি)। আজ শুক্রবার তাদের গ্রেপ্তার করে ৪ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। দেশটির স্টার অনলাইন তাদের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এমএসিসি জানিয়েছে, গ্রেপ্তারদের মধ্যে একজন ঢাকায় মালয়েশিয়ান হাইকমিশনে কর্মরত ছিলেন। তিনি ২০২১ সাল থেকে ঘুষের বিনিময়ে বাংলাদেশিদের মালয়েশিয়ায় কাজের জন্য বিদেশি ভিসা দিয়ে আসছিলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় পুত্রজায়ার দুর্নীতি দমন কমিশনের সদর দপ্তরের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে আজ তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর দেশটির শাহআলম থানার ম্যাজিস্ট্রেট মাগেশ্বরি মুনিন্দি দুইজনের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এমএসিসির প্রধান আজম বাকী গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, এমএসিসি আইনে মামলাটি আরও অধিকতর তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তের জন্য গ্রেপ্তারকৃতদের নাম পরিচয় জানানো হয়নি।
তদন্তে জানা গেছে, গ্রেপ্তার হওয়া এক কর্মকর্তা ঢাকায় মালয়েশিয়ান হাইকমিশনে কর্মরত ছিলেন। তিনি ২০২১ সাল থেকে বাংলাদেশিদের ঘুষের বিনিময়ে বিদেশি ভিসা দিয়ে আসছিলেন। তার বিরুদ্ধে প্রতিটি ভিসার বিপরীতে ৩০০ থেকে ৫০০ ইউএস ডলার ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এ পর্যন্ত ঘুষ নেওয়া মোট অর্থের পরিমাণ ১০০ মিলিয়ন রিঙ্গিতের বেশি। যেখানে মালয়েশিয়া সরকারের অনুমোদিত ভিসার নির্ধারিত ফি মাত্র ১০৫ রিঙ্গিত। গ্রেপ্তার অন্য কর্মকর্তা মালয়েশিয়ার অভিবাসন মন্ত্রণালয়ে কর্মরত।
এরআগে চলতি বছরের ২০ এপ্রিল ঘুষের বিনিময়ে বাংলাদেশি কর্মী ও পর্যটকদের ভিসা দেওয়ার অভিযোগে ঢাকায় নিযুক্ত মালয়েশিয়া দূতাবাসের দুই কর্মকর্তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। সে সময় ঐ দুই কর্মকর্তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সন্দেহজনক লেনদেনের প্রমাণ পেলে জড়িতদের ২০টির বেশি অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়। সে সময় প্রায় ৩ মিলিয়ন রিঙ্গিত মূল্যের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে মালায় সরকার।