বিশ্বের বিভিন্ন নামিদামি কোম্পানির শত বছরের পুরনো ১৬টি কার ও দুটি মোটরসাইকেলের র্যালী নিয়ে বাংলাদেশ ভ্রমণে আসা ৪৩ ইউরোপীয় পর্যটক দলটি বেনাপোল দিয়ে ভারতে ফিরে গেছেন। বাংলাদেশের কয়েকটি জেলা পরিদর্শন করে ছয়দিন পর তারা ভারতে ফিরে গেলেন।
বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি কামাল হোসেন ভূইয়া প্রত্যেক পর্যটক কেন ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, ফারজানা ইসলাম, আইসিপি ক্যাম্পের সুবেদার নজরুল ইসলামসহ অনেকে।
শুক্রবার সকাল ১০ টা ২০ মিনিটের দিকে কার র্যালির ৪৩ জন পর্যটক ভারতে প্রবেশ করে। এর আগে গতকাল যশোরের জাবির হোটেল ইন্টারন্যাশনালে তারা রাতযাপন করেন।
গত রবিবার (৬ নভেম্বর) সকালে ভারতের ডাউকি সীমান্ত হয়ে সিলেটের তামাবিল ইমিগ্রেশন কাস্টমস সম্পন্ন করে বাংলাদেশ আসেন ৪৩ জনের বিদেশি পর্যটকের একটি দল। পরে মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে তারা গাজীপুরের সারাহ রিসোর্টে পৌঁছান।
সারাহ রিসোর্টে একদিন রাতযাপন শেষে গত বুধবার (৯ নভেম্বর) সকালে তারা পাবনার উদ্দেশ্যে রওনা হন। এখানে একরাত থাকার পর বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) যশোর পৌঁছায় এই পর্যটক দলটি।
ভ্রমণকালে বাংলাদেশের মানুষ, প্রকৃতি, শিল্প, সংস্কৃতি, খাবারের সঙ্গে পরিচিত হয়েছেন বিদেশি এই পর্যটক দলটি। ইউরোপীয় পর্যটক দলটি যশোরের মানুষের আচার-আচরণ, প্রাকৃতিক রূপ, আর আতিথেয়তায় মুগ্ধ হয়েছেন বলে জানান তারা।
গত ২০ অক্টোবর থেকে ‘ইস্ট হিমালয়া ক্লাসিক্যাল কার র্যালি শীর্ষক ভিনটেজ কার র্যালিতে অংশ নেয়া দলটি এ বছর বাংলাদেশসহ তিনটি দেশ ভ্রমণ করে। তিন হাজার ২৪৪ কিলোমিটারের পথ পাড়ি দিয়ে র্যালিটি কলকাতায় গিয়ে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
শত বছরের পুরনো বিশ্বের নামিদামি মডেলের বিভিন্ন কোম্পানির কার দেখে উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েন বেনাপোলের মানুষ। র্যালীটি বেনাপোল পৌছালে শত শত লোকজন শত বছরের পুরোনো কারগুলো দেখার জন্য ভিড় জমায়।
বেলজিয়াম, পর্তুগাল, ফিনল্যান্ড, জার্মানি, ফ্রান্স, দক্ষিণ আফ্রিকা, যুক্তরাজ্যসহ অন্তত ৯টি দেশের নাগরিক নিজেদের খরচে এই ভ্রমণ বের হন। প্রতিবছর তারা এই অ্যাডভেঞ্চার আনন্দ শোভাযাত্রা করে থাকেন বলে জানা গেছে।
পর্যটক দলের কো-অর্ডিনেটর ও দ্যা জার্নি ওয়ালেটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মতিউর রহমান জানান, বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এ ধরনের আন্তর্জাতিক র্যালি প্রবেশ করেছে। কার র্যালিতে অংশ নেওয়া বিদেশি নাগরিকরা বাংলাদেশের আতিথেয়তায় খুব খুশি। তারা বাংলাদেশের মানুষের জীবনযাত্রা ও সংস্কৃতিকে বেশ পছন্দ করেছেন।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, ইউরোপীয় পর্যটকের একটি কার র্যালী সকালে বেনাপোল চেকপোস্টে আসে। অতি দ্রুততার সাথে তাদের পাসপোর্টের কার্যক্রম সম্পন্ন করে দেয়া হয়। কার্যক্রম শেষে তারা ভারতে প্রবেশ করেছে।