
আপনার জীবনের গল্প কি আটকে আছে চাকরির অভাবে? আপনি কি এমন একটি সুযোগ খুঁজছেন যেখানে বিদেশে থেকেও নিরাপদ দেশের চাইতে অনেক বেশি ইনকাম করার সুবিধা পাবেন! যদি এমনটা স্বপ্ন আপনারও থেকে থাকে তবে ওয়েলকাম আমাদের এই অস্ট্রেলিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা রিলেটেড বিস্তারিত আর্টিকেলে। সাথেই থাকুন!
অস্ট্রেলিয়া এমন একটি দেশ যেখানে দক্ষ শ্রমিকদের চাহিদা দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। স্বাস্থ্য, নির্মাণ, কৃষি, হসপিটালিটি, এবং তথ্য প্রযুক্তি প্রায় সব সেক্টরেই বিদেশি কর্মীদের জন্য এখানে দরজা খোলা। তাছাড়া আপনি চাইলে পরিবার নিয়েও থাকতে পারবেন।
এখন আসা যাক সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে অস্ট্রেলিয়ার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে কত খরচ পডবে সে ব্যাপারে।
অস্ট্রেলিয়ার ভিসা আবেদন ফি নির্ভর করবে আপনি কোন ভিসার জন্য আবেদন করছেন তার উপর। তবে বর্তমানে জনপ্রিয় Temporary Skill Shortage (Subclass 482) বা Skilled Independent Visa (Subclass 189)-এর জন্য আবেদন ফি সাধারণত ৩৫ হাজার টাকা থেকে শুরু হয়ে এক লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
ভিসা আবেদন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে আপনার মেডিকেল টেস্ট করতে হবে। বিভিন্ন অনুমোদিত ক্লিনিকে মেডিকেল করাতে প্রায় ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকার মতো খরচ হবে। আর এখানে লাগবে বুকের এক্স-রে, রক্ত পরীক্ষা ও ডাক্তারি পরামর্শ।
আপনার চরিত্র কেমন সে সম্পর্কে প্রমাণ দিতে বাংলাদেশ পুলিশ থেকে একটি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটও আপনাকে সংগ্রহ করতে হবে। আর এর জন্য খরচ পড়ে প্রায় ২ থেকে ৩ হাজার টাকা।
আপনার সব একাডেমিক ও কাজের সার্টিফিকেট ইংরেজিতে অনুবাদ করতে হবে এবং সেগুলোর সত্যতা নিশ্চিত করতে হবে। এসব ডকুমেন্টস প্রস্তুতের জন্য মোটামুটি ৫ থেকে ১৫ হাজার টাকার মতো লাগে পারে।
অস্ট্রেলিয়ার অনেক ভিসার ক্ষেত্রে কিন্তি ইংরেজি ভাষার দক্ষতা প্রমাণ করতে হয়। এক্ষেত্রে IELTS পরীক্ষার ফি সাধারণত ২২-২৫ হাজার টাকার মধ্যে হবে।
অনেকে ভিসা আবেদন এজেন্টের মাধ্যমে করেন। ভালো এজেন্টরা পুরো প্রক্রিয়া পরিচালনা করে! কিন্তু এজন্য ২০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা বা তার বেশি ফি নিতে পারে। তবে যদি আপনি নিজে নিজে আবেদন করেন, তাহলে এই খরচ ইজিলি বাঁচাতে পারবেন।
একবার ভিসা হয়ে গেলে আপনাকে অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার জন্য বিমানের টিকিট কাটতে হবে। সিজন অনুযায়ী টিকিটের দাম পরিবর্তিত হয়। তবে গড়ে ৭০ হাজার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার মধ্যে আপনার বিমানভাড়া পড়বে।
সব কিছু মিলিয়ে, অস্ট্রেলিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে গড়ে ১,৫০,০০০ টাকা থেকে শুরু করে ৩,৫০,০০০ টাকার মতো খরচ হতে পারে। তবে এই খরচ কম-বেশিও হতে পারে আপনার প্রফেশন, আবেদন প্রক্রিয়া এবং ডকুমেন্টেশনের জটিলতার উপর নির্ভর করে।
মনে রাখবেন অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে যদি আপনি একটি ফুল-টাইম চাকরি পান, তাহলে মাসে গড়ে ৩ থেকে ৫ লাখ টাকা ইজিলি আয় করতে পারবেন। শুধু তাই নয়, ২-৩ বছরের মধ্যেই আপনি পার্মানেন্ট রেসিডেন্স (PR) এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। যা আপনার ও আপনার পরিবারের ভবিষ্যত গড়ার এক সুবর্ণ সুযোগ হয়ে দাঁড়াবে।