শিরোনাম:
স্কলারশিপের জন্য ডেনমার্কের সেরা ১০ বিশ্ববিদ্যালয়  ডেনমার্ক স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৬: বিদেশে পড়াশোনার সবচেয়ে স্মার্ট ডিসিশন অস্ট্রেলিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কত টাকা লাগে: ২০২৬ আপডেটসহ বিস্তারিত গাইড মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড সম্পর্কে সব অজানা তথ্য একসাথে  অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপ পাবেন যেভাবে  ঢাকা টু সৌদি বিমান ভাড়া | ঢাকা টু সৌদি টিকিট বুকিং  বাংলাদেশ থেকে চায়না যেতে কত টাকা লাগে? বাংলাদেশ থেকে চীন ভ্রমণের সম্পূর্ণ ট্যুর গাইড চীনের দর্শনীয় স্থান এবং খরচসহ বিস্তারিত সব তথ্য একসাথে  সৌদি আরবে ড্রাইভিং লাইসেন্স ও গাড়ির ইন্সুরেন্স করার সম্পূর্ণ গাইডলাইন

ঢাকা টু সৌদি বিমান ভাড়া | ঢাকা টু সৌদি টিকিট বুকিং 

ঢাকা টু সৌদি বিমান ভাড়া | ঢাকা টু সৌদি টিকিট বুকিং 

প্রবাস প্রতিদিন
আপডেটঃ : রবিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৫

ঢাকা টু সৌদি বিমান ভাড়া | ঢাকা টু সৌদি টিকিট বুকিং 

ঢাকা টু সৌদি বিমান ভাড়া | ঢাকা টু সৌদি টিকিট বুকিং.jpg

যারা চাকরি, হজ, ওমরাহ বা ভ্রমণের উদ্দেশ্যে সৌদি আরব যেতে চান, তাদের প্রথম প্রশ্নটাই সাধারণত হয়, ঢাকা থেকে সৌদি আরব যেতে বিমান ভাড়া কত? আর আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে আমরা জানব ঢাকা থেকে সৌদি আরবের বিভিন্ন শহর যেমন রিয়াদ, জেদ্দা ও দাম্মাম পর্যন্ত ফ্লাইট ভাড়া, সময়, এয়ারলাইনস, এবং টিকিট কেনার কিছু দরকারি টিপস। সো সাথেই থাকুন!

ঢাকা থেকে সৌদি আরব যাওয়ার রুটসমূহ

বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবের তিনটি জনপ্রিয় গন্তব্য হলো:

  • রিয়াদ 
  • জেদ্দা 
  • দাম্মাম 

এই তিনটি শহরেই শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর মানে ঢাকা থেকে সরাসরি বা ট্রানজিট ফ্লাইট পাওয়া যায়।

ঢাকা টু সৌদি বিমান ভাড়া কত?

প্রথমে বলে রাখি, ঢাকা টু সৌদি বিমান ভাড়া কত তা ডিপেন্ড করে সময়, সিজন, টিকিট বুকিংয়ের আগাম সময় এবং এয়ারলাইনসের উপর। তবে চলুন One-way টিকিট হিসেবে ঢাকা টু সৌদি বিমান ভাড়ার গড় হিসাবটা বলি:

  • ঢাকা থেকে রিয়াদ: প্রায় ৳৫০,০০০ থেকে ৳৭৫,০০০
  • ঢাকা থেকে জেদ্দা: প্রায় ৳৫৫,০০০ থেকে ৳৮০,০০০
  • ঢাকা থেকে দাম্মাম: প্রায় ৳৪৫,০০০ থেকে ৳৭০,০০০

আর যদি আপনি রিটার্ন টিকিট মানে যাওয়া-আসার জন্য টিকিট নেন, তাহলে ভাড়া সাধারণত ৳৯০,০০০ থেকে ৳১,৩০,০০০ টাকার মধ্যে পড়বে।

ঢাকা টু সৌদির জনপ্রিয় এয়ারলাইনসসমূহ

ঢাকা থেকে সৌদি আরবে যাওয়া যায় এমন কিছু জনপ্রিয় আন্তর্জাতিক এবং বাংলাদেশি এয়ারলাইনসের খবর নিচে দেওয়া হলো:

Biman Bangladesh Airlines: যার আরেক নাম বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস! যেটি কিনা সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করে রিয়াদ, জেদ্দা ও দাম্মাম রুটে।

Saudi Arabian Airlines: এই এয়ারলাইনস সরাসরি ফ্লাইট এবং বেস্ট সার্ভিসের জন্য জনপ্রিয়।

Flynas Airlines: লো-কস্ট ফ্লাইটের জন্য বিখ্যাত। সো যারা সাশ্রয়ী টিকিট খুঁজছেন তাদের জন্য ভালো হবে।
Qatar Airways, Emirates, Etihad, Gulf Air: এটি একটি ট্রানজিট ফ্লাইট! যা দোহা, দুবাই বা আবুধাবি হয়ে যাবে।

ঢাকা টু সৌদি ফ্লাইটের সময়কাল

ঢাকা থেকে সৌদি আরবে ফ্লাইটের সময় নির্ভর করবে ডেসটিনেশন এবং আপনার ফ্লাইট সরাসরি বা ট্রানজিট কিনা তার উপর। এক্ষেত্রে:

  • সরাসরি ফ্লাইট: ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা
  • ট্রানজিট ফ্লাইট: ১০ থেকে ১৪ ঘণ্টা

ঢাকা টু সৌদি ফ্লাইটে কখন টিকিট বুক করলে ভালো হয়?

সাধারণত ৩ থেকে ৪ সপ্তাহ আগে টিকিট বুক করলে ভালো ভাড়া পাওয়া যায়। আর রমজান, হজ মৌসুম, ও বছরের শেষ ভাগে মানে ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির সময় ভাড়া অনেক বেড়ে যায়। তাই চেষ্টা করবেন অফ-সিজন মানে ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল সময়ে টিকিট তুলনামূলকভাবে কম দামে কিনে নেওয়ার।

ঢাকা টু সৌদি ফ্লাইটে কিভাবে কম দামে টিকিট নিবেন?

ঢাকা টু সৌদি ফ্লাইটে কম দামে টিকিট নিতে Skyscanner, Google Flights, অথবা Momondo এর মতো প্ল্যাটফর্মগুলি চুজ করুন। এসব প্ল্যাটফর্মে আপনি বিভিন্ন এয়ারলাইনসের টিকিটের দামও চেক করতে পারবেন।

আর ঢাকা টু সৌদি ফ্লাইটে কম দামে টিকিট কিনতে সপ্তাহের মাঝামাঝি বা মঙ্গলবার বা বুধবারে চেষ্টা করতে পারেন। তাছাড়া অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি যেমন GoZayaan, ShareTrip, বা Flight Expert থেকে টিকিট কিনলে ডিসকাউন্ট বা অফারও পাবেন।

ঢাকা টু সৌদি ফ্লাইটে লাগেজ পারমিশন

ঢাকা টু সৌদি ফ্লাইটে বেশিরভাগ এয়ারলাইনস যাত্রীদের জন্য যেমন লাগেজ পার্মিশন পাওয়া যায়:

  • চেক-ইন ব্যাগ: ২টি ব্যাগ 
  • প্রতিটি ব্যাগ ২৩ কেজি করে হবে
  • হ্যান্ড ব্যাগ: ৭ কেজি

তবে কিছু লো-কস্ট এয়ারলাইনস যেমন Flynas অতিরিক্ত লাগেজে চার্জ নিতে পারে। তাই টিকিট কেনার আগে পলিসি দেখে নেবেন।

ইতি কথা

সবশেষে বলবো ট্যুর প্ল্যান করার আগে অবশ্যই বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ঢাকা টু সৌদি বিমান ভাড়া দেখে নেবেন। আর যারা ওমরাহ বা হজ সিজনে টিকিট কিনবেন তারা অন্তত ২ মাস আগে বুকিং করবেন।

শেষে সৌদি আরবে পৌঁছানোর পর ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া শেষ হলে লাগেজ সংগ্রহ করে আপনি রিয়াদ, জেদ্দা বা দাম্মাম শহরের মধ্যে যেতে পারেন। এক্ষেত্রে ওখানেই থাকবে অফিসিয়াল ট্যাক্সি সার্ভিস, Careem বা Uber রাইড সার্ভিস এবং কিছু শহরে মেট্রো বা বাস সার্ভিস! আল্লাহ্‌ আপনার সফরকে নিরাপদ ও বরকতময় করুন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ