নেত্রকোণার মদনে স্ত্রীর দেওয়া আগুনে দগ্ধ হওয়ার ছয় দিনের মাথায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন প্রবাসী একলাছ উদ্দিন (৩৫)। এ ঘটনায় থানায় মামলার পর থেকে স্ত্রী, শ্বশুর ও শাশুড়ি বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে গতকাল শনিবার রাতে মারা যান একলাছ। কেন্দুয়া উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়েনের পাছহার গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে তিনি।
এর আগে মঙ্গলবার মদন উপজেলার কাইটাইল ইউনিয়নের এখলাছ উদ্দিনের শ্বশুরবাড়ি সুতিয়ারপাড় গ্রামে এই অগ্নিদগ্ধের ঘটনা হয়।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার এখলাছের চাচাতো ভাই কসিম উদ্দিন মদন থানায় আগুন দিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন। মামলায় এখলাছ উদ্দিনের স্ত্রী মুক্তা আক্তার, শ্বশুর এখলাছ উদ্দিন (৫৫), শ্বাশুড়ি লুৎফুন্নেছা (৫৩) নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও চারজনকে আসামি করা হয়।
মামলায় বলা হয়, ৬ বছর আগে পারিবারিকভাবে মুক্তা আক্তারকে বিয়ে করেন এখলাছ উদ্দিন। বিয়ের কিছুদিন পরেই তিনি মালেয়েশিয়া চলে যান। সেখান থেকে আবার সৌদি আরব যান। বিদেশ থাকা অবস্থায় তাঁর আয়ের টাকা স্ত্রীকেই পাঠাতেন। দেশে ফেরত আসার পর এই টাকা নিয়ে স্ত্রী, শাশুর ও শ্বাশুড়ির সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এরই জেরে গত মঙ্গলবার শ্বশুরবাড়িতে এখলাছের শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেওয়া হয়।
পরে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় পাঠান হয়।
চাচাতো ভাই কসিম উদ্দিন থানায় যে মামলাটি করেছিলেন সেটি এখন হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে।
ওসি আরও জানান, আসামিরা পলাতক রয়েছে। তবে তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানোর পাশাপাশি তদন্ত চলছে।