নটোরে হত্যা মামলার আসামি হোসনে আরাকে আদালতে নেয়া হচ্ছে।
নাটোরে আইনজীবীর সহকারী শাহিন শাহ হত্যার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। পরকীয়ার সম্পর্কে অবনতির জেরে ওই আইনজীবীর সহকারীকে হত্যার পর ১০ ফিট গর্তে মরদেহ পুঁতে রাখেন প্রবাসীর স্ত্রী হোসনে আরা।
শুক্রবার (১১ আগস্ট) রাতে বড়ইগ্রামের জলন্দা এলাকা থেকে গ্রেফতারের পর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এ তথ্য জানান আসামি। এ সময় তার ছেলে আশরাফুল ইসলাম ইমনকেও গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিকেলে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
গ্রেফতার হোসনে আরা ও তার ছেলে আশরাফুল ইসলাম ইমন একই এলাকার বাসিন্দা।
শনিবার (১২ আগস্ট) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাটোরের পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম।
লিশ সুপার বলেন, বড়াইগ্রাম উপজেলার ওমান প্রবাসী আইয়ুব আলীর স্ত্রী হোসনে আরা বেগমের সঙ্গে আইনজীবীর সহকারী শাহিন শাহের আদালতে পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়ার চলে আসছিল। সম্প্রতি তাদের সম্পর্কে অবনতি হলে শাহীনকে হত্যার পরিকল্পনা করেন হোসনে আরা বেগম।
এই জেরে গত ৭ আগস্ট রাতে শাহীন হোসনে আরার বাড়িতে গেলে তাকে খাবারের মধ্যে ঘুমের ওষুধ দেন। শাহীন ঘুমিয়ে গেলে তাকে বেল্ট দিয়ে গালায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করেন। হত্যার পর ১৪ বছরের ছেলে আশরাফুল ইসলাম ইমনকে সঙ্গে নিয়ে টিউবওয়েল স্থাপনের জন্য আগে থেকে খনন করা ১০ ফিট গর্তে শাহীনের মরদেহ পুঁতে রাখেন তিনি।