জেলা পরিষদ নির্বাচনে এক সদস্য প্রার্থী হেরে গিয়ে ঘুষ হিসেবে বিতরণ করা টাকা ফেরত চেয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই স্ট্যাটসটি ভাইরাল হয়। পরে অবশ্য স্ট্যাটাসটি মুছে ফেলেন তিনি। বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তিনি তার রফিকুল ইসলাম নামের আইডি থেকে স্ট্যাটাসটি দেন।
টাকা ফেরত চাওয়া ওই প্রার্থী মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম সংগ্রাম।
তিনি অভিযোগ করেন, তার কাছ থেকে প্রায় ৫৫ জন ভোটার টাকা নিয়েছেন। তবে ভোট দিয়েছেন মাত্র সাতজন। অন্যদের নেয়া টাকা ফেরত চেয়েছেন ওই প্রার্থী।
ফেসবুকের স্ট্যাটাসে রফিকুল লিখেছেন, “জেলা পরিষদ নির্বাচন (বাসাইল) সদস্য-১১। আমরা চারজন প্রার্থী ছিলাম। ভোটার ছিল ৯৪ জন। দিন শেষে জানা গেল, প্রত্যেক প্রার্থী ৫০ থেকে ৬০ জন ভোটারকে টাকা দিয়েছেন। তার মধ্যে আমাকে ৬০ জন ভোটার কথা দিলেও এর মধ্যে কম-বেশি ৫৫ জন ভোটার আমার কাছ থেকে টাকা গ্রহণ করল। ভোট দিল মাত্র ৭ জনে। এই হলো ভোটারদের আসল চরিত্র। পৃথিবীর সব কিছুই একবার দেখলে চেনা যায়, শুধু মানুষ বাদে। আমাকে যারা ভোট দেননি মনে হয় আপনাদের নামের তালিকা হওয়ার আগে আমার টাকা ফেরত দেওয়া উচিত। আপনারা না জনপ্রতিনিধি! ভোট আপনি যাকে খুশি তাকে দেন, এটা আপনাদের অধিকার, তাই বলে টাকা নিবেন চারজনের কাছ থেকে ভোট দিবেন একজনকে। এটা কেমন চরিত্র আপনাদের? আপনাদের কাছ থেকে আপনার এলাকার জনগণ কী সেবা পেতে পারে? আল্লাহ তুমি আমাদের সবাইকে হেদায়েত দান করে মানুষ হওয়ার তৌফিক দান করো। ”
পরে পরাজিত রফিকুল ইসলাম সংগ্রাম স্ট্যাটাস সরিয়ে দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘আমাকে টাকা ফেরত দিতে চেয়ে ফোন দিয়েছেন। অনেকেই রাতের মধ্যে টাকা ফেরত দেবেন বলে অঙ্গীকার করেছেন। এ জন্য আমি স্ট্যাটাসটি সরিয়ে নিয়েছি। ’
তিনি আরো বলেন, ‘আর কোন দিন নির্বাচন করব না। ’
বাসাইলের প্রিজাইটিং অফিসার মুহাম্মদ বাবুল হাছান বলেন, ‘নির্বাচনের পূর্বে টাকা লেদদেন করেছেন কি না সে বিষয় জানা নেই। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে কেউ কোনো অভিযোগ করেননি।’
টাঙ্গাইল জেলা পরিষদ নির্বাচন ১১ নম্বর ওয়ার্ড বাসাইলে মোট ভোটার ছিলেন ৯৪ জন। সদস্য পদে নাছির খান ৫৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রার্থী মোহাম্মদ হোসাইন খান পেয়েছেন ২১ ভোট, মিজানুর রহমান খান পেয়েছেন ১১ ভোট, মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম পেয়েছেন ৭ ভোট ও আতিকুর রহমান কোনো ভোটই পাননি। পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে তিন প্রার্থীরই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।