অপু বিশ্বাস তার টাইমলাইনে কিছু পোস্ট করলেই হল। অমনি বুবলির সাধ জেগে ওঠে। তিনিও তার টাইমলাইনে সরব হয়ে ওঠেন। কিভাবে অপুকে নাকাল/নাজেহাল করা যায় সেটাই বুবলির একমাত্র লক্ষ্য হয়ে ওঠে। বুবলি হয়ত বুঝতে পারছেন না, দিন দিন তিনি তার গ্রহণযোগ্যতা হারাচ্ছেন। শাকিবের পক্ষাবলম্বন করে নিজেকে পতিব্রতা প্রমাণ করতে গিয়ে ব্যাপক বিতর্কিত তিনি। যতই শাকিবের জন্য কোমরে গামছা বেঁধে নামুন কোনো লাভ হবেনা। দিন শেষে যুধিষ্ঠির শাকিব বহুত জোরের সাথে ল্যাঙ মারবেন বুবলিকে। এটা নিশ্চয়ই বুবলি জানেন। শাকিবের হয়ে গলা ফাটানোর পুরস্কার তার ভাগ্যে জুটবেনা। শাকিব হলেন বন্য পুরুষ। তিনি কখনও কারো হবার নন। শাকিব সবার জন্য ওয়ান ম্যান গেইম। শুনেছি বুবলি শিক্ষিতা। রুচিবোধ তার থাকা উচিত। কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার, বুবলি তার আত্মসম্মান ও রুচিবোধের পরিচয় দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। যুধিষ্ঠির শাকিব ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত জেনেও বুবলি হাস্যকরভাবে শাকিবকে ডিফেন্ড করার চেষ্টা করেছেন। তিনি যদি একা নিরিবিলি বসে একটু মনোযোগ দিয়ে ভাবেন, তাহলে শাকিবের মধ্যেকার সব ভেজাল আলগোছে বুঝতে পেরে যাবেন। বুবলি যার জন্য এত গলদঘর্ম হচ্ছেন, সে তো কখনো তাকে ঘরে ঘরণী হিসেবে তুলে নেবেন না। তবে কেন বুবলির এত আদাজল খেয়ে মাঠে নামা!! এই মাঠ বড়ই পঙ্কিল। চোরাবালিতে আটকে যাবেন তিনি। তার প্রিয় যুধিষ্ঠির চোরাবালি থেকে তাকে উদ্ধার করতে আসবেন না। সেটা তিনি হয়ত জানেন। যদি না জেনে থাকেন ফোকাস করে জেনে নিন।
কয়েকদিন আগে ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ডে মহাসমারোহে মুক্তি পেল বুবলির ছেলে শেহজাদের “হ্যাপি বার্থডে”। বুবলির ক্রিয়াকলাপ দেখে মনে হল তিনি মারাত্মক অস্তিত্ব সংকটে পর্যবসিত হয়েছেন। বুবলির সিনেম্যাটিক ইমেজ মোটামুটি পরিচিতি লাভ করেছে। একটা ছেলেকে মানুষ করা নিয়ে তাকে শাকিবের কান্ধে মামদো ভুতের মত চেপে বসতে হবে কেন? ছেলের ভরণপোষণ চালানোর জন্য বুবলি নিজে সাফিশিয়েন্ট নন কেন? যদি তার সেলফ রেসপেক্ট থাকতো শাকিবের দেয়া অসম্মান অপমানের পরেও তিনি ছেলের জন্মদিনে ফটোসেশান করে পাবলিককে সিম্পল আই ওয়াশ করতেন না। মজার ব্যাপার হল, শেহজাদের সাথে শাকিবের পরিবারের এটাচমেন্ট কেমন সেটা ছবিগুলো একটু ভালো করে লক্ষ্য করলেই বুঝা যায়। দাদীর সাথে শেহজাদের সম্পর্ক ইজি গোয়িং নয়- ছবিতে দাদী তাকে কোলে নিতে চাইলে শেহজাদ বুবলির কোল থেকে তার দাদীর কোলে যেতে অনীহা প্রকাশ করেছে। ছবির পটভূমি তা-ই বলে। ছেলের জন্মদিনে শাকিব ছিলেন গেস্ট অ্যাপিয়ারেন্স নিয়ে। নিয়ম অনুযায়ী তার তো বুবলির পাশে দাঁড়ানোর কথা, তাইনা? এমন পটভূমিকে বুবলি প্রেশিয়াস মোমেন্ট দাবি করেছেন? কেমন প্রেশিয়াস মোমেন্ট সেটা মানুষের দেখা হয়ে গেছে। বুবলি খুশিতে বগল বাজাচ্ছেন, কিন্তু শাকিব কখনোই বুবলির সাথে পুনর্মিলনে যাবেন না। শাকিব তাকে ম্যানেজ করেছেন অস্ট্রেলিয়া কান্ড থেকে বাঁচার জন্য। সাগর কলা দেখিয়ে বুবলিকে নিজের পক্ষে দাঁড় করিয়েছেন যুধিষ্ঠির শাকিব।
শাকিব তার টাইমলাইনে ঘুমন্ত শেহজাদের সাথে তার যুগল ছবি পোস্ট করেছেন। এটাও প্রশ্নবোধক। ঘুমন্ত বাচ্চার সাথে ছবি তুলে “মহীয়ান পিতার” দায়িত্ব পালন করেছেন শাকিব। অপু বিশ্বাসও একই ঘরানার রিলে বন্দী আছেন। অপু বিশ্বাসকে সবচাইতে বেশি অপমান করেছেন শাকিব। অপুকে “চরম মিথ্যাবাদী” বলেছেন। যদিও অপু সেগুলো ভুলে গিয়ে নিজের অস্তিত্বকে অপমানিত হওয়ার সুযোগ দিয়েছেন। যা করা তার উচিত হয়নি।অপুকে ভবিষ্যতে আরও সতর্ক থাকতে হবে। যুধিষ্ঠির শাকিব তার প্রয়োজনেই দুই নারীকে ম্যানেজ করেছেন। কিন্তু বাস্তবতা হল, অপু বুবলি দুজনের একজনের সাথেও ঘর সংসার করবেন না মহামতি শাকিব। ঠিক সময়ে সেটা টের পাবে মানুষ। অপু বিশ্বাসের ছেলেকে হিংসা করতে করতেই বুবলির বাকী জীবন কেটে যাবে।
লেখক মিলি সুলতানা